রাজশাহীর সব থেকে ভালো হাড়ের ডাক্তার - সেরা অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের তালিকা

গর্ভাবস্থায় জ্বর, সর্দি, কাশি হলে করণীয়রাজশাহীর সব থেকে ভালো হাড়ের ডাক্তারদের তালিকা সম্পর্কিত আর্টিকেলে স্বাগতম। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষকে লক্ষ্য করা যায় যারা কিনা হাড়ের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন এবং এটা নিয়ে অনেক চিন্তিত আছেন। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হাড় জনিত সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এমনকি অনেকের অল্প বয়সেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। যার সঠিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের।
                                     

আজকে আর্টিকেল এ আমরা রাজশাহীর কিছু বিশেষজ্ঞ আর্থোপেডিক ডাক্তারদের তালিকা নিয়ে কথা বলব। আপনি কোন ডাক্তার এর কাছে চিকিৎসা করাবেন যদি এই নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন তাহলে এই আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনার উপকারে আসবে।

ভূমিকা

একজন ডাক্তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকেন তার রোগীদের আরোগ্য করার জন্য।কিন্তু কিছু কিছু ডাক্তার রয়েছেন যাদের চিকিৎসা পদ্ধতি,অভিজ্ঞতা রোগীদের অনেক বেশি প্রভাবিত করে। ভিন্ন ভিন্ন রোগের জন্য চিকিৎসা শাখায় বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। প্রত্যেক বিভাগেই এইরকম দক্ষ,অভিজ্ঞ, ভূয়োদর্শী ডাক্তারের উপস্থিত লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং উন্নত মানের সুচিকিৎসা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সেই সকল ডাক্তারদের সম্পর্কে জানতে হবে। 

আপনার অবস্থান যদি রাজশাহী বিভাগের ভিতর হয় তাহলে আপনার জানা উচিত রাজশাহীর সব থেকে ভালো হাড়ের ডাক্তার গুলোর নামের তালিকা ও তাদের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবেন এই সম্পর্কিত বিষয়ে। যেহেতু রাজশাহী শহরের লক্ষ্মীপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বেশ কিছু ভালো এবং উন্নত মানের হাসপাতাল রয়েছে সুতরাং বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের অবস্থান এই এলাকা জুড়েই থাকে।

অর্থোপেডিক কি?

অর্থোপেডিক্স শব্দটি মূলত গ্রিক শব্দ ORTHO থেকে উদ্ভাবিত যার অর্থ দাঁড়াই খাঁড়া, সোজা বা সঠিক। অর্থোপেডিক মূলত কঙ্কাল এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট কাঠামোর অর্থাৎ টেন্ডন কিংবা লিগামেন্ট এর বিকৃতি, ব্যাধি কিংবা আঘাতের সংশোধন অথবা প্রতিরোধের সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি চিকিৎসা শাখা। অর্থোপেডিক সাধারণত একটি বিশেষত্ব। এটি প্রধানত মানব দেহের হাড়, জয়েন্ট, টেন্ডন, স্নায়ু, পেশী, লিগামেন্ট এবং মেরুদন্ডের কলামের সাথে জড়িত। 
এক কথায় এই চিকিৎসা শাখা মানব দেহের পেশী বহুল সিস্টেমকে প্রভাবিত করে এমন ধরনের রোগ বা অবস্থার সাথে কাজ করে। পেশীর ট্রমা, মেরুদন্ডের রোগ, অবক্ষয়জনিত রোগ, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, টিউমার সহ জন্মগত ব্যাধি ইত্যাদি নিয়ে এই বিশেষজ্ঞ শাখা কাজ করে। আর যে সকল ডাক্তার এই ধরনের অস্থি বা হাড়, লিগামেন্ট বা মাংসপেশির বিভিন্ন সমস্যার জন্য অস্ত্রোপাচার ছাড়া কিংবা অস্ত্রোপাচারের সাহায্যে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন তাদের মূলত অর্থোপেডিক সার্জন বলা হয়ে থাকে।

রাজশাহীর সব থেকে ভালো হাড়ের ডাক্তারদের তালিকা

ডা:দেবাশীষ রায়
এমবিবিএস, ডি-অর্থ, এমএস-অর্থ
(স্পেশালিস্ট ইন ট্রমাটোলজী)
সহযোগী অধ্যাপক,অর্থপেডিক সার্জারী বিভাগ (অবঃ)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ডাঃ দীন মোহাম্মদ সোহেল
এমবিবিএস, ডি-অর্থো, পিএইচডি, কনসালটেন্ট (অর্থো-সার্জারি) -রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজশাহী।
হাড় জোড়া ও পঙ্গু রোগ বিশেষজ্ঞ, অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন
অধ্যাপক ডা: বি .কে. দাম
এমবিবিএস, এমএস(অর্থোপেডিক সার্জারী), এফআইসিএস(আমেরিকা)
সদস্য (AAOS)
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও ট্রমা সার্জন
অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধান, অর্থো সার্জারি
বরেন্দ্র মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ডাঃ মোঃ মুনজুর রহমান
এমবিবিএস, বিসিএস, এফসিপিএস (অর্থোপেডিক সার্জারী),
এফ.এ.ও.এ. (সুইজ) এফ.এ.সি.এস (ট্রমা এন্ড অর্থোঃ) আমেরিকা
(হিপ ও নি’জয়েন্ট ) রিপ্লেসমেন্ট মাস্টার্স কোর্স (ইন্ডিয়া)
(এ. ও স্পাইন), প্রিন্সিপাল, এ্যাডভান্স ও মাস্টার্স কোর্স
(এ. ও স্পাইন এশিয়া প্যাসিফিক )
এ. ও স্পাইন লাইভ অপারেটিভ কোর্স (এ. ও. সিন)
এ. ও স্পাইন মেম্বার (সুইজারল্যান্ড)
এস.আই.সি.ও.টি মেম্বার (মধ্যপ্রাচ্য)
এ. ও (ট্রমা) মেম্বার (আমেরিকা)
আর.সি.এস মেম্বার (যুক্তরাজ্য)
বিশেষজ্ঞ স্পাইন ও অর্থোপেডিক সার্জন
হাড়-জোড় বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
অর্থোপেডিক সার্জারী বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ডা: সুব্রত কুমার প্রামানিক
এমবিবিএস, এমএস(অর্থো সার্জরী) বিএসএমএমইউ
হাড়জোড় বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
সহকারী অধ্যাপক,অর্থোপোডিক ও ট্রামাটোলজী বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজশাহী
ডা: ওবায়দুল হক
এমবিবিএস,বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডি-অর্থো, পিএইচডি (ফেলো)
হাড়জোড়, ব্যাথা, বিকলাঙ্গ ও দুর্ঘটনায় আঘাত জনিত রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
হাড়-জোড় বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক অর্থ সার্জারী বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী (অব)
ডাঃ সাঈদ আহম্মদ বাবু
এমবিবিএস, ডি-অর্থো (নিটোর -পঙ্গু হাসপাতাল) -রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজশাহী।
ডাঃ মুহাম্মদ আরোজুল্লাহ
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারি), পঙ্গু হাসপাতাল (নিটোর), ঢাকা -রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজশাহী।
ডাঃ মোঃ আব্দুর রশিদ
এমবিবিএস, ডি-অর্থো এম-ফিল (ফেলো)
হাড়-জোড় বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক ও এক্স বিভাগীয় প্রধান বিভাগ অর্থ-পেডিক্স বিভাগ
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী
ডাঃ এম. শরিফ উদ্দীন লিটন
এম.বি.বি.এস,বি.সি.এস (স্বাস্থ্য), ডি-অর্থো(বি.এস.এম.এম.ইউ)
কনসালটেন্ট (অর্থোসার্জারী)
হাড়-জোড়,বাত ব্যাথা,মাজা ও ঘাড়ে ব্যাথা ও ট্রমা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
হাড়-জোড় বিশেষজ্ঞ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,রাজশাহী

হাড়ের ব্যথা কমানোর উপায়

যদিও হাড়ের ব্যথার সমস্যা সমাধানের জন্য ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়া সবথেকে বেশি কার্যকর। তবুও এই ব্যথা কমানোর জন্য ভুক্তভোগী চাইলে কিছু পন্থা কিংবা উপায় অবলম্বন করতে পারে। চলুন আলোচনা করা যাক সে সকল বিষয় সম্পর্কে।
  • অস্বাস্থ্যকর চর্বি পরিহারঃ হাড়ের ব্যথা কমাতে হলে আপনাকে অস্বাস্থ্যকর চর্বি যা শরীরের ক্ষতি করে তা এড়িয়ে চলতে হবে এবং যে যে উপাদান গুলোতে স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে যেমন ঘি, তিলের তেল, অলিভ অয়েল ইত্যাদি আপনার খাবারে ব্যবহার করতে হবে। এইগুলো শরীরের জয়েন্টগুলো সহ সামগ্রিক স্বার্থের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  • রোজমেরী তেলঃ রোজমেরী তেল অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে শরীরের হাড়ের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে। সাধারণত এই তেল গরম অবস্থায় শরীরের যে অংশে ব্যথা হচ্ছে সেই অংশে মালিশ করতে পারলে অনেক তাড়াতাড়ি ব্যথা কিছুটা কমিয়ে না সম্ভব।
  • মাংসঃ যেহেতু শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি দিয়ে হাড় ভালো রাখা যায় না সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হল পরিমাণ মতো মাংস খাদ্যাভাসে যুক্ত করা। তবে এই ক্ষেত্রে চর্বি জাতীয় মাংস উপেক্ষা করে যে সকল মাংসে ফ্যাটের পরিমাণ কম এবং প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি সে সকল মাংস খাদ্যাভাসে যুক্ত করতে হবে যেমন মুরগির মাংস।
  • বাদামঃ হাড় ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকর হলো বাদাম। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা আমাদের হাড়ের জন্য অনেক উপকারী।
  • হলুদঃ শতাব্দী ধর শতাব্দী হলুদ অনেক জটিল রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। হাড়ের ব্যথার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এর বিকল্প ঘটে নি। শরীরের যেকোনো ব্যাথা কমাতে হলুদ অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।
  • আয়ুর্বেদিক ভেষজঃ হলুদ ব্যতীত ও কিছু আয়ুর্বেদিক ভেষজ রয়েছে যা জয়েন্টের ব্যথা থেকে আপনাকে আরাম দিতে পারে যেমন অশ্বগন্ধা, আদা, শালকি, রসনা, নির্গুণ্ডি ইত্যাদি।আদার ব্যবহারঃ অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করার ফলে মাংসপেশীতে ব্যথা বেশি অনুভূত হয় এই ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আমাদের সবার রান্নাঘরে থাকা আদা। আপনার হাড়গুলো সুস্থ রাখতে এবং এর ব্যথা কমতে একটানা এক সপ্তাহ আদা খেলেই আপনি এর ফল হাতেনাতে পাবেন।
  • খাদ্যাভাসে মাছ যুক্ত করাঃ মাছে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম এর মত পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। তাই হাড় ভালো রাখতে চাইলে এবং জয়েন্টের যাবতীয় ব্যথা দূর করতে চাইলে এই সুস্বাদু খাদ্যের কোন বিকল্প হয় না।
  • দুদ্ধ জাতীয় খাবারঃ দুগ্ধ জাতীয় সকল খাবার আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে দুধ ও দুধের সকল খাবার যেমন মাখন, ছানা, দই সকল কিছুই আমাদের উপকারে আসে যদি তা খাঁটি হয়। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফেট ও ম্যাগনেসিয়াম, এবং ভিটামিন ডি। আর এই সকল ভিটামিন এবং খনিজ হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
  • তেলের ব্যবহারঃ এমন কিছু তেল রয়েছে যা সচরাচর আমাদের রান্না ঘরে পাওয়া যায় আর এটি জয়েন্টের ব্যথা নিরাময়ের জন্য অনেক বেশি কার্যকর যেমন তিলের তেল, সরিষার তেল, ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে কিছু অত্যন্ত কার্যকরী আয়ুর্বেদিক তেল যেমন ধন্বন্তরাম তাইলাম,মহানারায়ণ তাইলাম, কোট্টামচুক্কাদি তাইলাম, সহচরদি তাইলাম, ,নির্গুন্ডি তাইলাম ইত্যাদি। নিয়মিত এই তেল গুলো ব্যবহার করে শরীরের যে স্থানে ব্যথা করে সেখানে মালিশ করতে পারলে আপনি এর থেকে অনেকাংশেই পরিত্রাণ পেতে পারবেন।
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম পরিহারঃ আপনি যদি শরীরচর্চায় অভ্যস্ত থাকেন এবং অতিরিক্ত ওজন যুক্ত সরঞ্জাম সহকারে শরীর চর্চা করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে তা এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এতে যেমন সাময়িক ইনজুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ঠিক তেমনি পেশী কিংবা জয়েন্টে আঘাত লাগার ও সম্ভাবনা থাকে।
  • হাড়ের ব্যথা নিরাময় করতে চাইলে টক, নোনতা, তেলেভাজা এবং উচ্চ পরিমানে ফার্মার্ন্টেড খাবারগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত। এই সকল খাবারগুলো যেমন জয়েন্টের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ঠিক তেমনভাবেই শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ক্ষতি প্রভাব বিস্তার করে।
  • এছাড়াও অতিরিক্ত ভাত আহার করা, দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা এবং অত্যাধিক মানসিক চাপ শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এই সকল কিছু এড়িয়ে চলতে হবে।

হাড়ের ব্যথা কমানোর জন্য খাবারের তালিকা

  • বিভিন্ন ধরনের টক ফলঃ ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অপরিসীম ভূমিকা রাখে। আঙ্গুর কমলার মতো টক ফল গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বিদ্যমান। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হাড়ের সংযোগস্থল এর ব্যথা কমাতেও অত্যন্ত কার্যকরী।
  • রসুনঃ রসুন এ উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিদ্যমান যা কিনা শরীরের বিভিন্ন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং এর পাশাপাশি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতেও এটি সক্রিয়।
  • টমেটোঃ টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ লাইকোপেন এর অস্তিত্ব রয়েছে। যা দেহের বিভিন্ন প্রদাহ ও দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর রান্না করা অবস্থায় টমেটোর পুষ্টিগুণ বেশি থাকে এবং এর পাশাপাশি টমেটোর রস শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
  • শুকনো ফলঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রচুর আঁশ সমৃদ্ধ খাবার হলো বাদাম। যা শরীরের প্রদাহজনিত সমস্যা সাড়িয়ে তুলতে এবং শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। এর সাথে সাথে আখরোট, পেস্তা বাদাম এবং কাঠবাদাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং আলফা‍-লিনোলেনিক উপাদান সমৃদ্ধ ফল যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হাড় জনিত ব্যথা দূরীকরণে অনেক উপযোগী।
  • পালংশাকঃ পালংশাক সবুজ শাক সবজির অন্তর্ভুক্ত সবজি যা শরীরের জন্য নানা দিক থেকে উপকারী যার মধ্যে একটি হল এটি একটি ব্যথা নাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। কারণ এটা রয়েছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর পাশাপাশি এটি সংক্রমণ ব্যাধি হিসেবেও প্রমাণিত।

আমাদের শেষ কথা

এই প্রবন্ধ দ্বারা চেষ্টা করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ কিছু ডাক্তারদের তালিকা তৈরি করার তথ্য অনুসন্ধানকারী দের সুবিধার্থে। অনেকের সাথে এ বিষয়ে অমিল ও থাকতে পারে। এর পাশাপাশি হাড়ের ব্যথা দূরীকরণের জন্য উপায় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে তা একদম প্রাথমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র তথ্য দেওয়ার জন্য। আপনাকে সঠিক চিকিৎসা করানোর জন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। 

তবুও আশা করি উল্লেখিত কৌশলগুলো অবলম্বন করলে আপনি কোন মতেই অপকার পাবেন না। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী সেসকল খাবার কিংবা কৌশলগুলো কোন বিরূপ প্রভাব ফেলছে কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং এরকম কিছু পূর্বে হয়ে থাকলে সেটা পরিহার করতে হবে। ধন্যবাদ।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইজি গ্রাব ওয়েব এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url