মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে করণীয় - যে ধরনের লক ব্যবহার করলে চুরি করা অসম্ভব

কক্সবাজার ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্যমোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে করণীয় ও এই সম্পর্কিত বিষয়বস্তু নিয়ে লিখিত এই প্রবন্ধে আপনাদের স্বাগতম।"বাইক" তিনটি বর্ণ দ্বারা গঠিত ছোট একটি শব্দ হলেও যুগ এর পর যুগ এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে এটি আবেগ ও প্রীতির অপর এক নাম হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।


এই প্রিয় বাইক বা মোটরসাইকেল কোন কারণে যদি চুরি হয়ে যায় তাহলে তা তার মালিকের জন্য কতটা কষ্টের হবে তা একটু হলেও অনুভব করা সম্ভব। আর আপনি যদি এরকম দুঃস্বপ্ন অনুভব করতে না চান তাহলে এই প্রবন্ধটি আপনার জন্য। আজকে আমরা আলোচনা করব বাইক চুরি ঠেকাতে করণীয়, সচেতনতা এই সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয় বস্তু নিয়ে।

মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে করণীয়

বর্তমান সময়ের কথা বিবেচনা করলে দেখা যায় টু-হুইলার কিংবা মোটরসাইকেল আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। দৈনিন্দন জীবনের প্রয়োজনীয় কাজ সারতে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অনায়াসে যাতায়াত করতে এর কোন বিকল্প নেই। তার সাথে সাথে বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের কাছে মোটরসাইকেল বিষয়টি শখের ও বটে। অনেকের কাছে এটি অত্যাধুনিক জীবনযাত্রার মানব বহন করে। আর এমন একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অথবা পছন্দের জিনিসের ক্ষতি সাধন হোক তা আমাদের মোটেও কাম্য নয়।
দিন দিন বাইকের সংখ্যার সাথে সাথে বাইক চুরির ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসা বাড়ির পার্কিং জোন, রাস্তার পাশে পাকিং জন কিংবা গাড়ি রাখার জন্য বিশেষ নজরদারি ব্য ব্যতীত কোন জায়গায় বর্তমানে নিরাপদ নয়। তাই এ বিষয়ে ঢিলেলেঢালা আচরণ না করে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। চলুন আলোচনা করা যাক নিজের মোটরসাইকেলকে চোর কিংবা কুচক্রের নিকট হতে রক্ষা করা সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিয়ে।

  • সিকিউরিটি লক সিস্টেমঃ নিজেদের মোটরসাইকেলের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো বাইকের জন্য একটি মজবুত এবং ভালো মানের লক কেনার। আধুনিক সমস্ত লক সিস্টেম সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে যেগুলো অবশ্যই একজন বাইকারের ব্যবহার করা উচিত। এ বিষয়ে ডিস্ক লক কিছুটা কার্যকর হতে পারে তবে তা পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কারণ বাইক স্টার্ট দিয়ে জোরে টান দিলেই ডিস্ক লক ভেঙে যায় এবং অনেক সময় দেখা যায় চোরদের কাছে থাকা বিভিন্ন ধরনের হাতিয়ার দিয়েই তারা সেই লক অনায়াসে ভেঙে ফেলছে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে কোন অথেন্টিক ব্র্যান্ডের এক্সট্রা লক ব্যবহার করতে পারেন। একের অধিক ব্যবহার করলে লক ভাঙতে সময় লাগবে আর এটা বাইক চুরি ঠেকাতে মজার একটি কৌশল। ভালো ব্র্যান্ডের গ্রিপলক কিংবা চেইন লক ব্যবহার করা নিরাপদ হবে। অবশ্যই আপনাকে অরিজিনাল এবং সব থেকে ভালো কোয়ালিটির মজবুত লোহার শিকল ব্যবহার করতে হবে এতে করে চোরের জন্য তা ভাঙ্গা সময় সাপেক্ষ ও কষ্টকর ব্যাপার হবে।
  • কিল সুইচ এর ব্যবহারঃ কিল সুইচ বলতে ছোট সাইজের সুইচ কে বোঝানো হয় যা বাইকের কোন গোপন স্থানে লাগানো থাকে এবং এটি বন্ধ থাকা অবস্থায় বাইকের ইঞ্জিন চালু করা সম্ভব হয় না। যেহেতু এটি গোপন জায়গায় ইঞ্জিনের সাথে লিঙ্ক আপ করা থাকে সেহেতু চোরের তা খুঁজে পেতে কিংবা বুঝতে সময় লাগে এবং এটি চুরি ঠেকাতে বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়। এক্ষেত্রে ছোট সুইচ ব্যবহার করা সর্বোত্তম।
  • ডিজিটাল লক সিকিউরিটি ডিভাইসঃ বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির সাথে সাথে বাইকে নিরাপত্তার বিষয়গুলো আরো উন্নত হচ্ছে আর এই ফলস্বরপ বাইক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা একধাপ এগিয়ে পাচ্ছি ডিজিটাল লক সিকিউরিটি ডিভাইস। ডিজিটাল লক সিকিউরিটি ডিভাইসে রয়েছে ট্যাসলক কার্বন এডিশনের চতুর্থ ভার্সন যার সর্বমোট ৩৭ টি ফিচার্স রয়েছে। এই ডিভাইসের সবথেকে মূল্যবান ফিচারস হল এটি ইন্সটল করলে কোনরকম চাবি সাহায্য ছাড়াই শুধুমাত্র কার্বোন এডিসনের রিমোট ব্যবহার করে বাইক চালানো যাবে এবং এটি ব্যবহার করেই বাইক লক করা যাবে। চাবি দিয়ে লক করার তিন থেকে চার সেকেন্ডের ভিতরেই আপনার বাইক লক হয়ে যাবে এবং এই রিমোট ব্যবহার করেই আপনাকে লক খুলতে হবে। বাইকের কাছে আসার সাথে সাথেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাইক আনলকও হয়ে যাই এবং এটি ব্যবহারের মাধ্যমে হাজারো বাইকের মাঝখানে আপনি আপনার বাইক খুব সহজে খুঁজে পাবেন ফাইন্ডারের মাধ্যমে। কেউ যদি আপনার বাইক টাচও করে তাহলে আপনার চাবি রিংয়ের অ্যালার্ম এবং ভাইব্রেশন আসবে। কোন কারণবশত যদি এই রিমোটের ব্যাটারি শেষ হয়ে যায় তাও ভয় নেই কারণ এর সাথে আপনি একটা ব্যাকআপ কি পেয়ে যাবেন।
  • ডাবল স্ট্যান্ড লকঃ এটি খুব ইউনিক এবং কার্যকরী একটি লক সিস্টেম যা আপনি মোটরসাইকেল গ্যারাজ এর দোকানে গিয়ে লাগাতে পারবেন। এই লক লাগানোর জন্য প্রয়োজন হবে দুইটি শক্ত পাতের যা সাধারণত দোকানের শাটার গুলোতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই দুটি পাতের ভিতরে একটি পাত আপনার মোটরসাইকেলের স্ট্যান্ড এর সাথে যুক্ত করতে হবে এবং আরেকটি বাইকের নিচের অংশের বডির সাথে যুক্ত করতে হবে।পাত দুইটি ভালো করে ঝালাই করে নিয়ে ডাবল স্ট্যান্ড অবস্থায় একটি শক্ত ও ভালো মানের তালা ব্যবহার করে দেখবেন এটি খুব ভালো সুরক্ষা প্রদান করছে।
  • জিপিএস ট্র্যাকারঃ মোটরসাইকেলের সর্বোত্তম নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জিপিএস ট্র্যাকার অত্যন্ত কার্যকরী। জিপিএস ট্র্যাকার গুলো আপনার মোটরসাইকেল এর লোকেশন কিন্তু অবস্থান এর বর্তমান তথ্য আপনাকে পাঠাতে থাকবে এতে করে কোন অবস্থাতে যদি বাইক চুরি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার বাইক উদ্ধার করতে পারবেন। এর পাশাপাশি ট্র্যাকিং সিস্টেম ইনস্টল এর ফলে বাইকের ইঞ্জিন অন অফ করলেও এই সম্পর্কিত নোটিফিকেশন আপনি আপনার স্মার্টফোনে পেয়ে যাবেন। আপনি চাইলে এটি ব্যবহার করে আপনার বাইকের ইঞ্জিন পর্যন্ত বন্ধ রাখতে পারবেন এবং তা পুনরায় চালনা করা অব্দি বাইকের সকল ইলেকট্রনিক ফাংশন বন্ধ থাকবে।
  • সেন্সর সিস্টেমঃ আপনি যদি বাইকের সেন্সর সিস্টেম অন করে থাকেন তাহলে মোটরসাইকেল চোর চাইলেও আপনার বাইকের ইঞ্জিন অন করতে পারবে না। এই প্রক্রিয়ায় বাইকের ইঞ্জিন সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ফাংশন বন্ধ করা থাকে যা আপনি অন না করা অব্দি বন্ধ হয়ে থাকবে যার ফলে চুরি ঠেকানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
  • আ্যন্টি-থেফট অ্যালার্মঃ যখন কেউ আপনার বাইকের আশেপাশে যাবে এবং বাইক স্পর্শ করবে তখন অটোমেটিক এক ধরনের অ্যালার্ম বেজে উঠবে যা আপনাকে সতর্ক করবে তবে এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে যেন অ্যালার্ম সাউন্ড সেনসিটিভিটি ভালো করে টিউন করা থাকে।
  • নিরাপদ পার্কিং স্থান নির্ধারণঃ বাইক চুরি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো নিরাপদ স্থানে বাইক পার্ক না করে নির্জন স্থান কিংবা ও নিরাপদ স্থানে বাইক পার্ক করা। বাইক পার্ক করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম দেখে নিতে হবে আপনি যে জায়গায় বাইক পার করছেন তার দিকে লক্ষ্য করে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে কিনা সে ক্ষেত্রে বাইক পার্ক করা অনেকটা নিরাপদ হয়ে যায়। যেহেতু বাইকটি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে সেক্ষেত্রে চোর চুরি করার সাহস পাবে না এবং চাইলেও কোন ধরনের সুবিধা করতে পারবে না আবার যদি বাইক চুরি হয়েও যাই সে ক্ষেত্রে চোরকে শনাক্ত করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আপনি চাইলে এমন স্থানে পার্কিং করতে পারেন যেখানে নজরদারির মানুষ রয়েছে। কিছু পার্কিং গ্যারেজ থাকে যারা আপনার বাইকের নজরদারির দায়ভার নেই। যদিও সকল স্থানে এই সুবিধা পাওয়া যায় না তবুও এমন কোন জায়গা আশেপাশে থাকলে সেখানে বাইক পার্ক করা সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এছাড়া আশেপাশে কোন শপিং কমপ্লেক্স থাকলে আপনি তা তাদের পার্কিং এও বাইক পার্ক করতে পারেন।যেকোনো এটিএম বুথের সামনে বাইক পার্ক করাও অনেক নিরাপদ হয়। কারণ তার বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা অবশ্যই থাকে।
  • যতটা সম্ভব বাড়ির চোখের সামনে রাখুনঃ এমন স্থানে পার্ক করার চেষ্টা করুন যেন এটি আপনার চোখের সামনেই থাকে। এর পাশাপাশি বাইকের আশেপাশে কেউ নজর রাখছে কিনা কিংবা বেশি ঘুরঘুর করছে কিনা তা খেয়াল করার চেষ্টা করুন এবং বাইকের লকের দিকেও নজর রাখুন।সর্বোপরি সতর্কতা অবলম্বন করা এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

চোরাই মোটরসাইকেল চেনার উপায়

মোটরসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে অনেকে অনেক সময় সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল এর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিষয়ে নিরাপত্তা সম্পন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত যার মধ্যে একটি হলো মোটরসাইকেলটি চোরাই কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য করা। কারণ মোটরসাইকেল যদি চোরাই হয় সেক্ষেত্রে আপনি তা ক্রয় করে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন এটি চোরের মোটরসাইকেল ক্রয় করলে এবং পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সন্ধানে তা যদি আপনার কাছে ধরা পড়ে তাহলে আপনাকে শাস্তির আওতায় নেয়া হবে।

আপনার মোটরসাইকেলটি আইনগত বৈধ কিনা তা দেখার জন্য কিংবা তার ইতিহাসের প্রতিবেদন চালানোর জন্য আপনি Carfax কিংবা Auto check এর মত পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন। এই সকল ওয়েবসাইটে আপনাকে তথ্য দিবে আপনি যে মোটরসাইকেলের ক্রয় করছেন তার কোন ধরনের চুরির রিপোর্ট রয়েছে কিনা কিংবা সে মোটরসাইকেলের কোনরকম দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা বা এর ওডো মিটারে কোনরকম কারচুপি করা হয়েছে কিনা। 

এছাড়াও আপনি চাইলে বাইকের চেসিস নাম্বার ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে সে বাইকটি চোরাই কিনা তা সম্পর্কে আন্দাজ পাবেন। একটি চোরাই বাইকের চেসিস নম্বর গুলোর মধ্যে সাধারণত কাটাকাটি থাকে। অর্থাৎ যে ডিজিট গুলো থাকে সেগুলোর একটি দুটি খোদাই করা কিংবা পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। যেমন ধরেন ০ কে ৪ বানানো। 

এছাড়াও একটি চোরাই বাইকের চেসিস নম্বরের ওয়ার্ডের প্যাটার্ন এ কোন ধরনের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না কিছু ওয়ার্ডের ফরমেট একরকম আবার কিছু ওয়ার্ডের ফরমেট অন্যরকম হয়। সাধারণত এ ধরনের বাইকের চেসিস নম্বরের লাইনটা ঠিক থাকে না এগুলো প্রথম দিকে সোজা এবং পরে গিয়ে লাইনগুলো বাঁকা হয়ে যায়।

একটি চোরাই মোটরসাইকেলের আসল চেসিস নম্বরের উপর পান্স করে নকল চেসিস নম্বর বসানো হয়ে থাকে যার ফলে আপনার কাছে চেসিস নম্বরটা বুঝতে অসুবিধা হয়। এক্ষেত্রে দেখা যাবে কিছু নম্বর ক্লিয়ার রয়েছে আবার কিছু নম্বরের ডিজিট স্পষ্ট।

মোটরসাইকেল চুরি হয়ে গেলে করণীয়

অনেক সময় এত ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরও কিংবা সচেতনতা অবলম্বন করার পরেও দেখা যাচ্ছে বাইক চুরি হয়ে যায় আরে মোটরসাইকেল চুরি হওয়া কিংবা চিন্তার কারণে প্রতিবছরেই আমাদের দেশে অসংখ্য মানুষ ক্ষতির শিকার হয়। এছাড়াও আপনার নামে রেজিস্ট্রিকৃত বাইকটি চুরি করে কুচক্র অসৎ কাজে ব্যবহার করে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে এবং এর ফলে আপনি হয়রানি কিংবা গ্রেপ্তার এর শিকার ও হতে পারেন তাই দেরি না করে বাইক হারিয়ে গেলে কিংবা ছিনতাই হয়ে গেলে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এবং নিজের মঙ্গলের জন্য অবিলম্বে পুলিশকে জানাতে হবে এবং এর ফলে আপনি বাইকটি ফিরেও পেতে পারেন।প্রথমত আপনার মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেলে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়রি করতে হবে। 

ডায়রি করার সময় মোটরসাইকেল ক্রয়ের রশিদ, লাইসেন্স নাম্বার, সহ বিভিন্ন বৈধ কাগজপাতি এর কপি থানায় জমা দিতে হবে এবং এর পরবর্তীতে ডিউটিরত অফিসার আপনাকে একটি জিডি নম্বর প্রদান করবেন। যদি পুলিশ আপনার চুরি হয়ে যাওয়া বাইকটি খুঁজে পাই তাহলে তারা অবশ্যই আপনার সাথে যোগাযোগ করে আপনাকে ফিরিয়ে দিবে। আপনি নিকটস্থ থানায় যদি প্রয়োজনীয় সেবা পেয়ে না থাকেন তাহলে সার্কেল এ এস পি এই নিকট অভিযোগ করতে পারবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিতে চাইলে আপনি পুলিশ কন্ট্রোল রুম এ ১০০ ডায়াল করে কিংবা ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক ৯৯৯ এ কল করুন।

রাস্তায় মোটরসাইকেল যেভাবে লক করবেন

বেশিরভাগ সময়েই বাইক পার্ক করার ক্ষেত্রে লোকালয় গুলোতে সেরকম কোন ধরনের গ্যারেজ কিংবা নিরাপদ পার্কিং থাকেনা। সেক্ষেত্রে আমাদের রাস্তার পাশেই বাইক পার্ক করতে হয় আর রাস্তার পাশে বাইক পার্ক করতে হলে অবশ্যই আমাদের আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে। রাস্তার পাশে বাইক পার্ক করার জন্য পেছনের চাকা দিয়ে একটি চেইন লক ব্যবহার করুন। 
রাস্তার পাশে থাকা কোন একটি স্থাবর বস্তু যেমন একটি স্থল কিংবা ভারী আসবাবপত্র কিংবা লোহার কোন বস্তুর সাথে তালা দিয়ে নিজের বাইক সুরক্ষিত রাখুন। এছাড়াও ঠিক পূর্বে যেমন বলা হয়েছে বাইকের ডিস্ক লক কিছুটা হলেও নিরাপত্তা প্রদান করতে পারেন। তবে সবসময় চেষ্টা করবেন বাইকে ডাবল লক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বাইক সুরক্ষিত থাকার নিশ্চয়তা আরো কয়েক গুনে বেড়ে যায়।

আমাদের শেষ কথা

মোটরসাইকেল ব্যস্ত জীবনের একটি সহজ সমাধান। ব্যস্ত জীবনে ট্রান্সপোর্টেশনের অন্যতম সমাধান হলো দুই চাকার এই যানবাহন। যা আমাদের সকলের কাছে প্রিয়। তবে একটু অসচেতনতার ফলে আপনার প্রিয় মোটরসাইকেলটি চোরদের কিংবা কুচক্রের কবলে পড়তে পারে যার জন্য অবশ্যই আপনাকে সর্বোত্তম চেষ্টা করতে হবে নিজের মোটরসাইকেলকে সুরক্ষিত রাখার। 

সর্বোপরি আপনি যতটা সচেতন থাকবেন ঠিক ততটাই আপনার প্রিয় মোটরসাইকেলটি সুরক্ষিত থাকবেন। আশা করি উপরিক্ত প্রবন্ধটি আপনাদের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আপনারা একজন সচেতনতার সাথে নিজেদের মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ সুরক্ষা প্রদানের চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ সকলকে।










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইজি গ্রাব ওয়েব এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url