গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় - এসি ছাড়াই ঘর রাখুন ঠান্ডা

চোরের হাত থেকে আপনার মোটরসাইকেল রাখুন সুরক্ষিততথ্যগরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায় সমন্ধিত প্রবন্ধে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।আবহাওয়ায় তাপমাত্রার প্রকোপ তাপমাত্রা হুর হুর করে বেড়েয় চলেছে আর এমন পরিস্থিতিতে এইরকম উচ্চ তাপমাত্রা হতে নিজেদের একটু রেহাই দেওয়ার জন্য ও নিজের বাসস্থান সহ ঘর গুলোকে একটু ঠান্ডা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।

গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়-এসি ছাড়াও ঘর রাখুন ঠান্ডা


আপনি যদি এই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে থাকেন এবং এ থেকে একটু রেহাই পাওয়ার জন্য হলেও আপনার বসবাসকৃত ঘরকে ঠান্ডা রাখতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।এই কাজের জন্য অবলম্বন করা প্রয়োজন কিছু কৌশল। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কৌশলগুলো সম্পর্কে।

গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

পূর্বের গ্রীষ্মকালীন সময়ের কথা বিবেচনা গুলো দেখা যায় বাসা বাড়িতে থাকা ফ্যানগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো গ্রীষ্মকাল টাই অনায়াসে কাটিয়ে দেওয়া যেত কিন্তু বর্তমান সময়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর প্রভাবের ফলে তাপমাত্রার প্রকোপ এতটাই বেশি যে শুধুমাত্র ফ্যানের বাতাস দিয়ে এই গরম থেকে নিস্তার পাওয়া কিংবা ঘর কে ঠান্ডা রাখা সম্ভব নয়।তাই প্রচন্ড গরমে শান্তির জন্য হলেও আমাদের খুঁজে নিতে হবে বিকল্প কিছু ব্যবস্থা।চলুন আলোচনা করা যাক সে সকল বিষয় নিয়ে অর্থাৎ গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কিছু কৌশল নিয়ে।
  • বরফ ও ইলেকট্রিক পাখার সমন্বয়ঃ বাসায় থাকা টেবিল ফ্যানগুলো অন করে এর সামনে এক বাটি বড় রেখে দিন।একটি সময় পর দেখবেন আপনার ঘর পূর্বের অবস্থা থেকে তুলনামূলক ঠান্ডা হয়ে রয়েছে।
  • তীব্র আলোর বাল্ব পরিহারঃ গ্রীষ্মকালীন সময় যতটা সম্ভব আপনার রুমের ভিতর ব্যবহৃত বাল্ব খুব বেশি প্রয়োজন না পড়লে বন্ধ রাখুন এবং চেষ্টা করুন ডিম লাইট ব্যবহার করার কিংবা এমন সকল বাল্ব ব্যবহার করার যেগুলোর আলো তুলনামূলক কম কিন্তু আপনার প্রয়োজন অনুসারে যথেষ্ট।কারণ ঘরে তীব্র আলো জালিয়ে রাখলে সাধারণত এটি ঘরকে আরো গরম করে তোলে। আপনি চাইলে টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করতে পারেন।
  • জানালা বন্ধ রাখাঃ সূর্যের অতিরিক্ত তাপ থেকে বাঁচতে এবং ঘরকে ঠান্ডা রাখতে জানালা বন্ধ রাখায় শ্রেয়।তবে রাতের সময় যেহেতু সূর্যের তাপ থাকে না এবং বাতাস পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে জানলা খুলে ঘুমাতে পারেন এক্ষেত্রে ঘরের হাওয়া চলাচল করবে এবং ঘরের আবহ ঠিক থাকবে।
  • অপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রিক যন্ত্র বন্ধ রাখাঃ বাড়িতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক যন্ত্র হেয়ার ড্রায়ার, ওয়াশিং মেশিন, কিংবা মোবাইল চার্জার এর মত ছোট যন্ত্র প্রয়োজন না পড়লে বন্ধ রাখতে হবে ছোটখাটো যন্ত্রও ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে।
  • বিছানায় সুতি চাদরের ব্যবহারঃ বিছানার চাদর এ ব্যবহৃত বিভিন্ন ফেব্রিক এর ফলে অনেক সময় শরীরে গরম লাগে তাই এক্ষেত্রে সুতি কাপড়ের চাদর ব্যবহার করা শ্রেয়।গ্রীষ্মকালীন সময়ে আপনি চাইলে বিছানায় সাদা রঙের কিংবা হালকা রঙের চাদর ব্যবহার করতে পারেন এর ফলে আপনার বিছানায় ঠাণ্ডা থাকবে এবং এর সাথে সাথে বালিশের কাভার ও বিছানা চাদর নিয়মিত পরিবর্তন করুন এবং চেষ্টা করুন পরিষ্কার চাদর ব্যবহার করার এর ফলে মানসিকভাবেও নিজেকে ফ্রেশ মনে হবে এবং ঘরের আবহও বজায় থাকবে।
  • তাপবিরোধী পেইন্ট ব্যবহারঃ আপনি যদি নতুন বাড়ি বানান কিংবা এই গরমের সময়ে ঘরকে নতুন করে রং দেন তাহলে এই কৌশলটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে।ঘরের দেয়াল তাপ ছড়ায় এক্ষেত্রে বাজারে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তাপ বিরোধী পেইন্ট ঘরের দেয়ালে ব্যবহার করতে পারেন।
  • ইনডোর প্ল্যান্টসঃ গাছ তাপ নিরোধে কতটা কার্যকারি আমরা সকলেই জানি। বাড়ির চারপাশে গাছ লাগানোর পাশাপাশি আপনি চাইলে ঘরের ভিতরে ইনডোর প্ল্যান্টস ব্যবহার করতে পারেন।বর্তমান সময়ে ঘরের সাজসজ্জা বৃদ্ধির জন্য এবং এর পাশাপাশি ঘর এর আবহ সুন্দর রাখার জন্য অনেকেই এগুলো ব্যবহার করছেন।এই উদ্ভিদগুলো ঘরের তাপমাত্রা শোষণ করে ঘরকে ঠান্ডা রাখতেও যথেষ্ট কার্যকরী। 
  • কম তুলার ব্যবহারঃ বিছানার গদি বানানোর সময় যতটা সম্ভব কম তুলা ব্যবহার করুন। তুলা তাপ ধরে রাখে তাই আপনি যত কম তুলা ব্যবহার করবেন আপনার জন্য ততো বেশি উপকারী হবে।
  • সিলিং ফ্যানের নিচে শীতল পানিঃ ঘরকে শীতল করার জন্য এবং ঠান্ডা রাখার জন্য এটি উপযোগী। ঘরে ব্যবহৃত সিলিং ফ্যানের নিচে এক বালতি ঠান্ডা পানি রেখে দিতে পারেন এটি ঘরের তাপমাত্রা কমতে এবং ঘরকে শীতল রাখতে সহায়তা করবে।
  • কর্পূর ও গোলাপ জলের ব্যবহারঃ একটি বোতলে পানির সাথে গোলাপজল মিশিয়ে স্প্রে করুন এতে যেমন ঘরে সুগন্ধ ছড়াবে ঠিক তেমনি ভাবেই অত্যাধিক গরমেও ঘর শীতল থাকবে।এর পাশাপাশি আপনি চাইলে কর্পূর ব্যবহারও করতে পারেন এটি পানির সাথে মিশিয়ে ঘরের পর্দায় স্প্রে করতে হয় এর ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে এবং এর পাশাপাশি পর্দা গুলো যদি হালকা হালকা ভেজা থাকে তাহলে ফ্যানের বাতাসও তুলনামূলক ঠান্ডা হয়।
  • ঘরে মাটির মালসার ব্যবহারঃ বাজারে খোঁজ করলে দেখতে পাবেন মাটির টবের দোকান কিংবা যেখানে মাটির জিনিসপত্র বিক্রি হয় সেখানে ছোট বড় ও মাঝারি আকারের মাটির মালসা পাওয়া যায়।এগুলো পানি দিয়ে ভরে একটি ফুল,মোম,কিংবা গাছ রাখলে যেমন এটি দেখতে সুন্দর লাগবে ঠিক তেমনি ভাবেই আপনার ঘরকেও ঠান্ডা ও শীতল রাখতে সহায়তা করবে।তবে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু সচেতন হওয়া জরুরী আপনি যদি এই মালসার পানি নিয়মিত না পরিবর্তন করেন তাহলে পানি পৌঁছে যাব দুর্গন্ধ বের হবে ঠিক তেমনভাবেই ডেঙ্গুর মতো জটিল রোগ হওয়ার ভয়ও থাকবে। কারণ পচাঁ পানিতে ডেঙ্গু মশা বংশ বিস্তার করে।

টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সমূহ

বাংলাদেশ একটি গ্রাম প্রধান দেশ আর। বর্তমান সময়ে এসেও গ্রামীণ বাংলার অধিকাংশ বাসা বাড়ি এখন পর্যন্ত টিনের‌ই রয়ে গেছে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে এসে যেখানে দালান কোঠা গুলো তে গরম অসহনীয় হয়ে পড়েছে সেখানে টিনের ছাদের নিচে থাকা কত কষ্টকর তা একটু হলেও আন্দাজ করা সম্ভব। তবে কিছু কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে তাপমাত্রার প্রভাব একদম শেষ করে দেওয়া সম্ভব না হলেও এ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া সম্ভব। চলুন দেখে নেওয়া যাক টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সমূহ।
  • সিলিং ফ্যানের পরিবর্তে টেবিল ফ্যানের ব্যবহারঃ টিন যেহেতু তাপ প্রদহের কারণে অতিরিক্ত গরম থাকে সেক্ষেত্রে আপনি যদি টিনের ঘরে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে টিনে থাকা গরম সিলিং ফ্যানের বাতাসের সাহায্যে নিচে নেমে আসবে এবং পুরো ঘরের আবহাওয়াকে গরম করে তুলবে সেক্ষেত্রে সিলিং ফ্যানের পরিবর্তে টেবিল ফ্যানগুলো ব্যবহার করা উত্তম।
  • আইস কিউবের ব্যবহারঃ দালান ঘরের মতো টিনের ঘরেও আপনি এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে পারেন। টেবিল ফ্যানের সামনে একটি বড় বাটিতে বেশি পরিমাণ আইস কিউব কিংবা বরফ ঢেলে রেখে দিতে পারেন এর ফলে আপনার ঘর তুলনামূলক শীতল হবে।
  • কলাগাছ রোপনঃ টিনের ঘর ঠান্ডা রাখতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে আপনাকে এর আশেপাশে বৃক্ষরোপণ করতে হবে এক্ষেত্রে কলাগাছ রোপন করা সব থেকে বেশি উপযোগী হবে।
  • খড়ের আঁটিঃ টিনের ঘর শীতল রাখার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত কার্যকরী। খড়ের আঁটি পানিতে ভালো করে ভিজিয়ে টিনের চালের উপর বিছিয়ে রাখতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় আপনি খুব সহজেই টিনের ঘর ঠান্ডা রাখতে পারবেন। তবে এটি আরো কার্যকরী করার জন্য যদি নিয়মিত আঁটিতে পানি দেন তাহলে তুলনামূলক ভালো ফল পাবেন।
  • হিট প্রুভ ফোম এর ব্যবহারঃ বর্তমান সময় টিনের ঘর এর জন্য হিট প্রুভ ফো‌ম বাজারে রয়েছে। আপনি চাইলে এগুলো কিনে টিনের চালে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে ভালো ফল পাবেন।
  • সিমেন্টের টিনের ব্যবহারঃ আপনারা চাইলে বাসা বাড়িতে ব্যবহারের জন্য সিমেন্টের টিন ক্রয় করতে পারেন। এটি তাপ থেকে একটু হলেও আপনাদের রক্ষা করবে এবং এটি সাশ্রয়ী ও বটে।
যদিও যদি কেউ বর্তমান সময়েও টিনের ঘর নির্মাণ করার কথা চিন্তা করে থাকেন তবে সর্বক্ষেত্রে নিচু জায়গা বেছে তা নির্মাণ করবেন এর ফলস্বরূপ আর্দ্রতার পরিমাণ কম হবে এবং আপনাদের ঘর তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে অর্থাৎ তাপ থেকে একটু হলেও রেহাই পাবেন।

টপ ফ্লোর ঠান্ডা রাখার উপায়

আমরা যারা দুই তলা কিংবা তিন তলা বাসায় বসবাস করে থাকি তাদের ক্ষেত্রে একটি বিষয় প্রযোজ্য হয় নিচের তলা তুলনামূলক ঠান্ডা থাকলেও টফ ফ্লোর কিংবা উপরের তলার রুমগুলো অনেক বেশি গরম থাকে। যেহেতু সূর্যের তাপ সরাসরি টপ ফ্লোর এসে পড়ে সেহেতু এটি অত্যাধিক গরম থাকে। এই গরম কিছুটা কমানোর জন্য আপনি চাইলে টপ ফ্লোরের উপরে টিনের শেড ব্যবহার করতে পারেন। 
টপ ফ্লোরের উপর টিনের সেটের আবরণ ব্যবহার করলে সূর্যের তাপ ফ্লোরের ছাদে পড়ার পূর্বে তিনটা শোষণ করে নেবে এক্ষেত্রে টপ ফ্লোরের ছাদে তাপ তুলনামূলক কম পড়বে। এছাড়াও আপনি চাইলে খড়ের আঁটি ভিজিয়ে তা পুরো ছাদে বিছিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে দেখবেন আপনার টপ ফ্লোর এর রুমগুলো তুলনামূলক বেশি ঠান্ডা থাকছে।

এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

  • সুতি কিংবা লিলেন কাপড়ের পর্দার ব্যবহারঃ সুতি কিংবা লিলেন কাপড়ের পর্দা সাধারণত অন্য কাপড়ের তুলনায় হালকা হয় কারণ এগুলো প্রাকৃতিক ফেব্রিক দ্বারা তৈরি পর্দা এর ফলে রুমের ভিতরে গরম ভাব কমে আসে। এটি যত হালকা রঙের হবে ততটা ভালো কারণ হালকা রঙের কাপড় গুলো সাধারণত তাপ প্রতিফলিত করবে যার ফলে আপনার ঘর থাকবে তুলনামূলক ঠান্ডা।
  • গ্যাস ফ্যান এর ব্যবহারঃ বাজারে অনেক ধরনের গ্যাস ফ্যান রয়েছে যা ঘর থেকে গরম বাতাস বের করে দিতে সহায়তা করে। আপনার ঘরের বাতাস যদি ফ্রেশ না থাকে তাহলে আপনার ঘর আরো গরম হতে থাকবে সেক্ষেত্রে এ ধরনের ফ্যানগুলো কার্যকরী।
  • ইনডোর প্লান্টঃ বৃক্ষ আদ্রতা কমাতে ও শীতল আবহাওয়ার জন্য কতটা পর্যন্ত আমরা সবাই জানি। ঘরের ক্ষেত্রেও তাই আপনি চাইলেই ছোট ইন্ডোর প্ল্যান্টগুলো কিনে আপনার ঘরে রেখে দিতে পারেন এক্ষেত্রে ঘরে শীতলতা আসবে এবং ঘরের তাপমাত্রটা একটু হলেও কমবে।
  • ডাবল থাই গ্লাসের ব্যবহারঃ তাপমাত্রার প্রকোপ কমানোর জন্য চাইলে ডাবল থাই গ্লাস এর ব্যবহার করতে পারেন কিংবা অনেক ধরনের মোটা থাই গ্লাস পাওয়া যায় যা ব্যবহারের ফলে বাইরে থেকে আসে সূর্যের তাপমাত্রা হতে আপনার ঘর অনেকটাই রক্ষা পাবে।
  • ভেজা চাদরঃ মোটা চাদর পানিতে ভেজানোর পর তা হালকা শুকিয়ে অল্প স্যঁতসেতে ভাব থাকা অবস্থায় পর্দার গায়ে লাগিয়ে দিতে পারেন এর ফলে যেমন আপনার ঘর সূর্যের তাপমাত্রা হতে রক্ষা পাবে ঠিক তেমনি ভাবে ঘরের আদ্রতা কম আসবে এবং ঘর হবে শীতল।

রান্নাঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

রান্নাঘরে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা বজায় থাকে এর কারণে রান্নাঘরে অবস্থান করে রান্না করা বাসায় থাকা মা-বোন কিংবা গৃহিণীদের জন্য অনেকটাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। যদিও এই কষ্ট পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয় তবুও কিছু কৌশল অবলম্বন এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব।
  • রান্নাঘরে এগজস্ট ফ্যান কিনবা গ্যাস ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে রান্নাঘরে বিদ্যমান থাকা গরম বাতাস ঘর থেকে বেরিয়ে যাবে এবং ঘর এর তাপমাত্রা একটু হলেও কমবে।
  • রান্নাঘরের জানালা থাকলে সেখানে ভারী পর্দা ব্যবহার করার শ্রেয় তাহলে সূর্যের তাপ হতে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
  • ঘর ভেজা ভেজা অবস্থায় রেখে মুছে রাখতে পারেন এর ফলে ঘরের তাপমাত্রা কম থাকবে।
  • আপনি চাইলে রান্না ঘরে সাধারণ রং কিংবা দেয়ালে টাইলস ব্যবহার করতে পারেন এই দুইটি জিনিসই তাপমাত্রা একটু হলেও কম রাখবে।
  • চেষ্টা করবেন অপ্রয়োজনীয় সময় চুলা বন্ধ রাখার এবং এর সাথে গ্রীল জাতীয় খাদ্য না তৈরি করার কারণ এ জাতীয় খাদ্য তৈরির জন্য অনেক দীর্ঘ সময় এবং উচ্চতাপে চুলা জ্বালিয়ে রাখতে হয় যা রান্নাঘরে তাপমাত্রা কয়েক অংশের বাড়িয়ে দিতে পারে।

আমাদের শেষ কথা

এই অসহনীয় গরম একবারে নিরাময় করা কখনোই সম্ভব নয় কিন্তু আমরা চাইলে এই সকল কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে এর প্রভাব একটু হলেও কমিয়ে আমাদের দৈনন্দন জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে পারি। সর্বোপরি আমরা উচ্চ তাপমাত্রা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করব। আশা করি উপরিক্ত প্রবন্ধটি আপনাদের উপকারে আসবে।ধন্যবাদ সকলকে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইজি গ্রাব ওয়েব এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url