হানি নাটস কি?হানি নাটস এর উপকারিতা
ত্রিফলার পুষ্টিগত গুণাগুণ অবাক করবে আপনাকেওহানি নাটস কি?হানি নাটস খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা সম্বন্ধিত এই প্রবন্ধে আপনাদের স্বাগতম। বর্তমান সময়ে অনেকটাই চর্চিত বিষয় হল হানি নাটস। পুষ্টি গুনের দিক থেকে বিবেচনা করলে হানি নাটস যেমন একটি সুস্বাদু খাবার ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের সুস্বাস্থ্য গঠন ও বর্ধনেও এটি উপকারী।
আজকে আমরা হানি নাটস কি, এটি খাওয়ার নিয়ম, এটা কিভাবে তৈরি করে এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এর উপকারিতা ও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানব যা আপনাদের জন্য অনেক নির্ভরযোগ্য ও উপকারী তথ্য হবে বলে আমি আশা করছি।
হানি নাটস কি?
বর্তমান সময়ে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আলোচিত একটি বিষয় হচ্ছে হানি নাটস। হানি নাটস কি? বিভিন্ন প্রকার ফুলের মধু ও নানান ধরনের বাদামের সাথে কালোজিরার মত বিভিন্ন বীজ জাতীয় উপকরণ মিশিয়ে যে মিশ্রণটি তৈরি করা হয় তাই মূলত হানি নাটস। হানি নাটস অতুলনীয় পুষ্টি গুনাগুন সমৃদ্ধ একটি খাবার যাকে সুপার ফুড ও বলা হয়ে থাকে।প্রথমত এই মিশ্রণে থাকা বাদামে রয়েছে উপকারি ফ্যাট,শর্করা,আয়রন সহকারে নানা ধরনের শক্তিবর্ধক উপাদান সমূহ।
দ্বিতীয়ত এই মিশ্রণে রয়েছে মধু যা একটি উচ্চ ঔষধি গুন সম্পূর্ণ ভেষজ তরল এবং এতে রয়েছে ৪৫টিরও বেশি খাদ্যগুণ যার মধ্যে কিছু হল ভিটামিন বি, আয়োডিন,জিংক, কপার, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। এছাড়াও এই মিশ্রণে অন্তর্ভুক্ত থাকে কালোজিরা যার পুষ্টি গুণাগুণ সম্বন্ধে লিখে শেষ করা যাবে না।কালোজিরা আয়ুর্বেদীয়, কবিরাজি ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিধ রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
আরোও পড়ুনঃ আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
জ্বর, সর্দি, কাশি, কফ, অরুচি, শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা ও দাঁতের ব্যথা, বাতের ব্যথা, পেটের বাথা, মাথাব্যথা ,মাথা ঝিমঝিম ভাব ও মাইগ্রেন নিরাময়ে কার্যকর ঔষধি হিসেবে কাজ করে।
কালোজিরার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে
হানি নাটস কতটা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার।
হানি নাট খাওয়ার নিয়ম
যেহেতু হানি নাটস এর মিশ্রণটি মধু, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও কালোজিরার মিশ্রণে তৈরি করা হয়ে থাকে সেহেতু এটি সঠিক নিয়ম মেনে এবং সচেতনভাবে এই খাবারটি আমাদের গ্রহণ করা উচিত না হলে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর এর বিপরীত প্রভাব লক্ষ্য করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে খালি পেটে থেকে এই খাবার এই খাবার গ্রহণ করলে তা আমাদের শরীরে সঠিক মাত্রায় সরবরাহ করতে পারে এবং এর সাথে সাথে পাচন ক্রিয়াতেও অংশগ্রহণ করতে পারে এবং এই কারণেই তারা মূলত পরামর্শ দেন এই মিশ্রণটি খালি পেটে খাওয়ার।
প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে কিংবা খাবার গ্রহণ করার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে এই মিশ্রণটি ১ থেকে ২ চামচ খেতে পারেন। দুপুরে খাবার পূর্বেও চাইলে হানি নাটস খেতে পারেন তবে সকাল বেলা খালি পেটে খাওয়াই উত্তম এর ফলে আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন তবে যদি মনে হয় আপনি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাচ্ছেন না সে ক্ষেত্রে ঠিক একই নিয়মে রাতের বেলা ১ চামচ করে এই মিশ্রণটি খেতে পারেন।হানি নাটস খাবার পর কোন ধরনের ভারি বা কঠিন কাজ ব্যায়াম না করা উত্তম এবং এর সাথে সাথে এই খাবার গ্রহণ করার পরপরই কোন ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করাও যাবেনা।
যেহেতু এই মিশ্রণটি বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে তাই এটি গ্রহণের ফলে পেটের হজম ক্রিয়ায় সামান্য ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এই সময় ভয় না পেয়ে কিছুদিনের জন্য এর সেবন বন্ধ করে আবার পুনরায় পূর্বের নিয়মে এ মিশ্রণটি খেতে পারেন। এই মিশ্রণটি খাওয়ার পর কোন ধরনের গরম খাবার কিংবা গরম পানি না খাওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
হানি নাটস কিভাবে তৈরি করা যায়
আমরা প্রথমেই জেনেছি একাধিক উপকরণের মিশ্রণে এই উপকরণটি তৈরি করা হয়ে থাকে আর এতে যে প্রধান উপাদান বিদ্যমান থাকে তা মূলত হল মধু অর্থাৎ বিভিন্ন ফুলের মধু এবং নানান ধরনের বাদাম যেমন কাঠবাদাম, কাজুবাদাম ,পেস্তা, ইত্যাদি এবং এর সাথে সাথে এই মিশ্রণে যুক্ত করা হয় বিভিন্ন ধরনের বীজ জাতীয় খাবার যেমন ধরা যাক কালোজিরা।তবে এটি যেহেতু একটি বাজারজাতকৃত দ্রব্য সুতরাং মান বিশেষে এর ভিতরে থাকা উপাদান পরিবর্তন হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হানি নাটস তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানসমূহ সম্পর্কে।
- চিনা বাদাম
- কাঠবাদাম
- কাজুবাদাম
- পেস্তা
- কিসমিস
- কালোজিরা
- সূর্যমুখী ফুলের বীজ
- চিয়া সিড
- আলুবোখরা
- তিল
- আখরোট
- অ্যাপ্রিকট
- মাবরুম খেজুর
- খোরমা খেজুর
- আজওয়া খেজুর
- মিষ্টি কুমড়ার বিচি
- চেরি ফল
- হাই বাদাম
- ড্রাই আপেল
- শুকনো আনারস
- সাদা তিল
হানি নাটস এর ভিতরে থাকা উল্লেখযোগ্য উপাদানসমূহ সাধারণত এগুলোই। যদি আপনি বাজারে ক্রয় করতে যান তাহলে দেখা যাবে ১ কেজি হানি নাটস এর প্যাকেজে ৫০০-৬০০ গ্রাম বাদামের সঙ্গে ৪০০-৫০০ গ্রাম মধু থাকে। এ সকল উপাদান ব্যবহার করেই যে আপনাকে হানি নাটস তৈরি করতে হবে তার কোন মানে হয় না আপনার বাসায় যদি খাঁটি মধু, বাদাম, সহ কিছু আরো মিশ্রণীয় উপাদান থাকে তাহলে চাইলেই আপনি এই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারটি তৈরি করে নিতে পারবেন।
আরোও পড়ুনঃ ত্বকের যত্নের কার্যকারী সেরা টিপস
প্রথমত খাঁটি মধুর সাথে ২০০ গ্রাম কাঠবাদাম ও কাজুবাদাম মিক্স করে নিতে হবে বাদাম গুলোকে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে এটি ধুয়ে ফেলা ঠিক হবে না। এর সাথে ২০০ গ্রাম চীনা ও পেস্তা বাদাম মিক্স করে নিতে হবে এরপর এই মিশ্রণের ভিতরে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে আখরোট, কিসমিস এবং কালোজিরা ও এর সাথে খেজুর আর এভাবে আপনারা চাইলে নিজে নিজেরাই বাসায় বসে থেকেই এই যাদুকরী স্বাস্থ্য সমৃদ্ধ উপকরণটি বানিয়ে নিজেদের দৈনিন্দন খাদ্যাভাসে যুক্ত করতে পারবেন।
হানি নাটস এর উপকারিতা
মানবদেহের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে, শরীরকে সতেজ রাখতে এবং শরীরে যথাযথ পুষ্টি সরবরাহের ক্ষেত্রে হানি নাটস এর কোন বিকল্প নেই। এটি অত্যন্ত কার্যকর। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই জাদুকরী মিশ্রণের কিছু উপকারিতা।
- ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তাঃ আমরা পূর্বে জেনেছি হানি নাটস কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে থাকে। মানব শরীরে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টির জন্য দায়ী থাকে এলডিএল নামক কোলেস্ট্রল। এই মিশ্রণ এ থাকা উপকরণসমূহ এই ধরনের দূষিত কোলেস্টেরল বৃদ্ধি দমিয়ে রাখে যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত শর্করা জমে না এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং এর ফলস্বরূপ ব্লাড প্রেসার থাকে নিয়ন্ত্রণে।
- রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ রক্তস্বল্পতা সুস্বাস্থ্যের বিপরীতে একটি ভয়াবহ খবর হানি নাটস খেলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
- পুরুষের শরীরে বীর্যের পরিমাণ ও কোয়ালিটি বৃদ্ধি করেঃ প্রজনন রক্ষার জন্য যেমন পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বেশি হতে হয় ঠিক তেমনিভাবে সেগুলো আবার সুস্থ ও সবল হতে হয় আর এই দুই কাজেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে হানি নাটস। সুতরাং পুরুষত্ব বজায় রাখতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের শরীরে যথাযথ পরিমাণ পুষ্টি সরবরাহ করতে হয় আর এটি অত্যন্ত সহজ হয়ে পড়ে যখন আমরা প্রতিনিয়ত হানি নাটস সেবন করে থাকি। এই মিশ্রণ গ্রহণের ফলে মস্তিষ্কের নিউরন ও সক্রিয় হয়।
- শরীরের দুর্বলতা কমানোঃ যেহেতু হানি নাটস শরীরে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পুষ্টি উপাদানসমূহ সরবরাহ করে থাকে সুতরাং এটি আমাদের শরীরকে সতেজ ও সবল রাখতে সহায়তা করে এটি সেবনের ফলে শরীরে ক্লান্তি ভাব খুব কম আসে এবং আসলেও তা সহজে কেটে যায়।
- অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্য উপকারীঃ অন্তঃসত্ত্বা নারীরও পরিমাণ মতো এটি সেবন করতে পারেন। এটি নারীর গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
- মুখের ব্রণ প্রতিরোধ করেঃ হানি নাটস এ থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদানসমূহ গুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি ত্বকের যত্ন নিতে সহায়তা করে থাকে এবং এর সাথে সাথে মুখের ত্বকে উঠতে থাকা ব্রণ গুলো প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
- চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিঃ চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতেও হানি নাটস যথেষ্ট কার্যকরী।
- দাঁতের ক্ষয় রোধ করেঃ দাঁতের গোড়া এবং হাড় মজবুত করতে হানি নাটস এর কোন বিকল্প নেই। এটি যেহেতু একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান সুতরাং দাঁতের ব্যথা নিরাময়, দাঁতের মাড়ি মজবুত এবং দাঁতের সর্বপোরি সুস্থতা নিশ্চিত করতেও এটিসহায়তা করে।
- কিডনি ও লিভার জড়িত সমস্যাঃ হানি নাটস কিডনি লিভার জনিত সমস্যা দূরীকরণের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কার্যকরী এর পাশাপাশি এই মিশ্রণটি মানবদেহের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সুস্থতা নিশ্চিত করে।
এই সকল উপকারিতা ব্যতীত হানি নাটস আরো কিছু কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।যেমনঃ
- এটি হৃদপিন্ড সুস্থ রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- এই মিশ্রণে থাকা ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও আয়রন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দৈহিক গঠন সুন্দর করে।
- এই মিশ্রণটি মানসিক চাপ কমাতেও সহায়তা করে ।
- রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে হানি নাটস স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং এর পাশাপাশি, হৃদ্পেশির কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতেও যথেষ্ট পালন করে।
হানি নাট খেলে কি ওজন বাড়ে?
হানি নাটস এ যেহেতু বাদামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে সুতরাং এটি প্রতিনিয়ত গ্রহণের ফলে দেহে অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত হয়। আর আমরা কমবেশি সকলেই জানি অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করা মানে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা এর পাশাপাশি একটু বেশি মিষ্টি হওয়াতে শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এই মিশ্রণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নামক উপাদান অনেক বেশি পরিমাণে থাকে তাই এটি দ্রুত ওজন বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। সুতরাং যারা শরীরের বেশি ওজন নিয়ে ইতিমধ্যে চিন্তিত রয়েছেন এবং তা কমাতে চান কিংবা কমানোর জন্য ব্যায়াম অথবা বিভিন্ন ধরনের ডায়েট অনুসরণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে হানি নাটস খাওয়া একদমই উচিত হবে না।
যাদের জন্য হানি নাটস খাওয়া উচিত হবে না
যদিও হানি নাটস পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার তবুও সবার ক্ষেত্রে এটি উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয় না।অনেকের জন্যই এটি বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে যে সকল মানুষদের ডায়াবেটিস, কিডনি ও হৃদপিন্ডের রোগ, এবং শরীরে এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এই মিশ্রণটি গ্রহণ করা মোটে উচিত হবে না এবং এর পাশাপাশি যারা অতিরিক্ত ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রেও হানি নাটস খাওয়া উচিত নয়।
যেহেতু এতে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালোরি থাকে সেহেতু এটি আপনার শরীরের ওজন কে বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও এই মিশ্রণটি অতিরিক্ত খাবার ফলে হজমে বিপাক, রক্তে চর্বির মাত্রা বৃদ্ধি, চিনির মাত্রাবৃদ্ধি, অতিরিক্ত গরম লাগাসহ, কিডনির সমস্যা এবং এর পাশাপাশি নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।সুতরাং এটি খাওয়ার পূর্বে পরিমাণ মতো ও নিয়মমাফিক খাবা খাওয়া জরুরী।
আমাদের শেষ কথা
আমাদের দেহকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য যত ধরনের পুষ্টি উপাদান এবং স্বাস্থ্যকর উপাদানসমূহ প্রয়োজন তা সবই হানি নাটস এ বিদ্যমান।এটি একটি উচ্চ ঔষধি গুন সম্পূর্ণ ভেষজ তরল যার ভিতরে শক্তিবর্ধক উপাদানের কোন অভাব নেই। কিন্তু এর পাশাপাশি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবনের ফলে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এর পাশাপাশি পরিস্থিতি অনুসারে অনেকের জন্য এটি সেবন করা ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে।
যেমনটা আমরা আমাদের প্রবন্ধে আলোচনা করেছি যাদের ক্ষেত্রে এটি গ্রহণের ফলে শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে তাদের এই মিশ্রণটি সেবন করা হতে বিরত থাকাই ভালো। সর্বোপরি আমাদের এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল ও সতেজ রাখতে হলে দৈনিন্দন খাদ্যাভাসে অবশ্যই এ মিশ্রণটি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আশা করি উপরিক্ত প্রবন্ধটি আপনাদের সকলের জন্য উপকার হিসেবে বিবেচিত হবে। ধন্যবাদ।
ইজি গ্রাব ওয়েব এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url