ত্বকের যত্নের কার্যকারী সেরা টিপস

ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য যে শুধু নামিদামি স্ক্রিন কেয়ার প্রোডাক্ট এর প্রয়োজনই পড়ে তা ব্যতীত সম্ভব হয় না এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। প্রাকৃতিক উপায়ে সামান্য কিছু টিপস মেনে চলার মাধ্যমেও ত্বকের যত্ন নিয়ে ত্বকের সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জল গড়ে তোলা সম্ভব।
                                       

আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কার্যকরী সেটা কিছু টিপস নিয়ে। যা আপনাকে সাহায্য করবে আশানুরূপ ফলাফল পেতে।

ভূমিকা

সুন্দর স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ও জেল্লাদার ত্বক আমাদের সকলেরই কাম্য। আমরা সকলেই চাই নিজেকে আরও আকর্ষণীয় ভাবে গড়ে তুলতে এবং অভিনেতা অভিনেত্রীদের মতো একটি আকর্ষণীয় ত্বক পেতে। তবে এই কাজটি রাতারাতি সম্ভব নয় এর জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক ও মানসম্মত স্কিন কেয়ার রুটিন কিংবা দৈনিন্দন ত্বকের যত্নের কার্যকরী টিপস।

অনেকেই ভাবেন শুধু দামি দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে কিংবা পার্লারে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করলেই একটি স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়। কিন্তু বিষয়টি আসলে তা নয় সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে এবং কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিয়ে ত্বককে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব। তাই আসুন জেনে নেই ত্বকের যত্নের কার্যকারী সেরা টিপস।

প্রথমে বুঝে নিন আপনার ত্বকের প্রকৃতি বা ধরনঃ

সাধারণ ত্বকের যত্ন

আপনার ত্বক যদি খুব বেশি খুব বেশি তৈলাক্ত না হয় কিংবা ত্বকের শুষ্কতা বেশি না থাকে তাহলে আপনার ত্বকটি একটি সাধারণ ত্বক।
  • সাধারণ ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে সকল এবং রাতে আপনার ত্বক ক্লেনজার পরিষ্কার করুন।
  • মুখ ধোয়ার পরে সকালে এবং রাতে ভেজা ত্বকে মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন যা ত্বকের যত্নে আরো কার্যকরী হবে।
  • রোদ্রে যাওয়ার পূর্বে সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঘরোয়া ভাবে টক দই ব্যবহার করে কিংবা ডিম এবং মধু ও মধু এবং লেবুর রস একসাথে ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লেনজার তৈরি করতে পারেন।
  • সাধারন ত্বকের ক্ষেত্রে মশ্চারাইজরও অনেক উপকারী প্রমানিত হয়।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

  • অন্যান্য প্রকৃতির ত্বক হতে তৈলাক্ত ত্বকের তুলনামূলক বেশি যত্ন নিতে হয়। যেহেতু তৈলাক্ত ত্বকে ধুলো বেশি জমে সেহেতু বাইরে থেকে আসার পর কয়েকবার পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন এতে করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমে।
  • এই ত্বকের জন্য মসুরের ডাল অথবা মোটরের ডালের বেসন, অল্প পরিমাণ টক দই ও শশার রস ব্যবহার করে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এতে করে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেকটাই কমতে পারে এবং ত্বক হতে পারে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল।
  • অয়েল কন্ট্রোলড ফেসওয়াশ ব্যবহার করা আপনার ত্বকের জন্য অনেকাংশে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে কারণ এর ফলে অতিরিক্ত তীর নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • ব্লোটিং পেপার সাথে রাখা বাড়তি তেল নিয়ন্ত্রণের একটি কার্যকরী উপায় ত্বকে বেশি তেলতেলা ভাব থাকলে ব্লোটিং পেপার দিয়ে তার শুষে নিন।
  • তেলের পরিমাণ কম এরকম মেকআপ ব্যবহার করুন।

শুষ্ক ত্বকের যত্ন

সাধারণ ত্বকের মতো ঠিক একই নিয়ম মেনে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিতে হবে এক্ষেত্রে ক্লিনজিং কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়াও ক্লিনজিং করার পর টোনিং এবং মশ্চারাইজিং এ জাতীয় ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয়।শুষ্ক ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে মধু অনেকটা উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয় এটি ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না এবং স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে।

মিশ্র ত্বকের যত্ন

আপনার ত্বক অনেকাংশে তৈলাক্ত আবার অনেক অংশে শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে তা মিশ্র ত্বক হিসেবে বিবেচিত হবে।এই ধরনের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত রাতে প্রথমে মাসাজ ক্রিম দিয়ে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং নিজের প্রয়োজন মোতাবেক মালিশ করতে হবে। এরপর হালকা কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে নিতে হবে।

এক্ষেত্রে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে যে প্যাক ব্যবহার করা হয়েছে সেই একই প্যাকের মতো সোশ্যাল পরিমাণ একই রেখে সয়াবিন পাউডার ব্যবহার করে নিতে হবে এবং মনে রাখতে হবে টক দই ব্যবহার করা যাবে না।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন

  • নারিকেল তেলঃ রাতে ঘুমোতে যাবার আগে নারিকেল তেল দিয়ে হালকা মাসাজ করা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি ত্বককে দাগহীন করে তুলতে সাহায্য করে।
  • মধুঃযে সকল মানুষদের ত্বকের প্রকৃতি শুষ্ক তারা ত্বকে মধু ব্যবহার করতে পারেন আমাদের সকলের বাসায় কম বেশি মধু রয়েছে ত্বকের উপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট এর জন্য মধু লাগিয়ে রাখলে এটি আপনার ত্বককে শুষ্ক হতে দেবে না এবং ত্বককে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
  • হলুদঃ আমাদের ত্বকের জন্য কতটুক উপকারী তা আমরা কমবেশি সবাই জানে। যে সকল মানুষের ত্বকে বেশি পরিমাণে দাগ রয়েছে তাদের জন্য হলুদের কোন বিকল্প নেই ত্বকের দাগ দূর করার জন্য টক দই বা দুধের সাথে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করে মুখে লাগালে অনেক কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়।
  • শসাঃ আমাদের অনেকে চোখে ফোলা ভাব দেখা যায় চোখের ফোলা ভাব দূর করতে এবং ত্বকে সতেজ সুন্দর রাখতে চোখের উপর শসা টুকরা ব্যবহার করতে পারেন শসায় রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার ত্বকের গঠনকে এবং সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।
  • মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণঃ মধুর সাথে লেবুর রসের মিশ্রণ ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে ত্বককে রাখে পরিষ্কার ও মসৃণ।
  • এলোভেরা জেলিঃ রূপচর্চার জন্য ব্যবহৃত অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উপাদান হলো অ্যালোভেরা। সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর কোন বিকল্প নেই। এলোভেরা জেলি প্রতিনিয়ত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ ও কালো হয়ে যাওয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় পাশাপাশি ত্বক হয় মসৃণ।
  • পানিঃ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো সুস্থ রাখতে যেমন পানি কোন বিকল্প নেই ঠিক তেমনভাবে ত্বককে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে পানি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতে যার পরিমাণ কমপক্ষে ৮ গ্লাস।
  • তরমুজ ও চালের গুড়ার মিশ্রণঃ রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তরমুজ তরমুজ ও চালের গুড়ার মিশ্রণ অনেক উপকারী এবং কয়েকদিন ব্যবহারে এর সুফল পাওয়া যায়।

রাতে ত্বক এর যত্ন

  • মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়াঃ প্রথমত সারাদিনের পরিশ্রম ও ক্লান্তি শেষে ত্বকের যা মেরামত দরকার তা করে নিতে হবে নিজ দায়িত্বেই অর্থাৎ বাড়িতে ব্যবহৃত ফেস ওয়াশ কিংবা ফোম ওয়াশ ব্যবহার করে তোকে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে যাতে করে তোকে কোনরকম ময়লা জমা না থাকে এতে করে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়।
  • গোলাপের বীজ ও কাঠবাদামঃ গোলাপের বীজ ও কাঠবাদামের তেল রাতের ত্বকের যত্নে অনেক উপযোগী।এই দুইটি উপকরণের সাথে চা একটি পাত্রে ফুটিয়ে লেপ তৈরি করে তোকে প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
  • এলোভেরা জেলঃ এক চামচ এলোভেরা জেল ও লেভেন্ডার অয়েল এবং এর সাথে প্রেম রোজ অয়েল এর মিশ্রণ ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সহায়তা করে।
  • নারিকেল তেল ও অ্যালোভেরা অয়েলঃ ত্বককে মসৃণ ও দাগ মুক্ত করতে নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা অয়েলের সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মিশ্রণ অনেক কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় সাথে এই মিশ্রণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।৫.ত্বক হাইড্রেট রাখতে তা ময়েশ্চারাইজ করা অনেক জরুরী।
  • পর্যাপ্ত ঘুমঃ বিউটি স্লিপ ত্বক এর জন্য অনেক জরুরী শরীরের সাথে ত্বক কে ভালো রাখতে হলে দৈনিক ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।৭.টক দইয়ের সাথে ওটস এর মিশ্রণে বানানো স্ক্রাব ত্বকের জন্য অনেক উপকারী এটি তৈলাক্ত সাধারণ মিশ্র এবং শুষ্ক সব ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে মানানসই।
  • টক দই ও ওটসঃ টক দইয়ের সাথে ওটস এর মিশ্রণে বানানো স্ক্রাব ত্বকের জন্য অনেক উপকারী এটি তৈলাক্ত সাধারণ মিশ্র এবং শুষ্ক সব ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে মানানসই।

গরমে তৈলাক্ত ত্বক এর যত্ন

  • ব্লটিং পেপারঃ ত্বক যে জাতীয় তেল উৎপন্ন করে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর না হলেও তৈলাক্ত ত্বক খুব সহজেই ময়লা হয় যার জন্য এ ধরনের ত্বক ভালো রাখতে প্রয়োজন ভালো যত্নের আর এই কাজে সক্ষম একটি কাগজের নাম হলো ব্লটিং পেপার যাকে একটি যাদুর কাগজ বললে ভুল হবে না সাধারণত এই কাগজের কাজ ত্বকের উপর অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়া।
  • শসা ও বরফের ব্যবহারঃ এই প্রচন্ড গরমের প্রভাব হতে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কিংবা ত্বককে আরাম দেওয়ার জন্য শসা ও বরফ এর ব্যবহার অনেকটা কার্যকরী এতে করে রোদে পোড়া ভাব ও অনেকাংশে দূর হয়।
  • টক দই ও বেসনঃ টক দইয়ের সাথে বেসন মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেকটাই কমে কারণ বেসন তেল শুষে নিতে সক্ষম হয়।
  • বারবার মুখ না ধোয়াঃ স্বাভাবিকভাবে ত্বক যে তেল উৎপন্ন করে, তা ত্বকের ক্ষতি। করে না বরং এর উপকারিতায় বেশি। বারবার মুখ ধুলে এই তেল সাময়িকভাবে কমে যায়। তাতে সিবেসিয়াস গ্রন্থি ধরে নেয় যে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সে আরও বেশি তেল উৎপন্ন করে থাকে। যার ফলে ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। যার জন্য গরম কালে বেশি মুখ ধোয়া উচিত নয়।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ গরমের ঘামে শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায়। তাই এ সময় ত্বক আর্দ্র রাখতে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি দিন অন্তত তিন লিটার করে পানি পান করা জরুরী। পাশাপাশি, খাদ্য ভাসে মিনারেল সমৃদ্ধ ফলও রাখতে পারেন। যা শরীর ও ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করবে।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কার্যকরী ৫টি ফেসওয়াশ

  • নিউট্রোজিনা অয়েল ফ্রি অ্যাকনে ওয়াশ
  • হিমালিয়া নিম ওয়েল ক্লিয়ার ফেইস ওয়াশ
  • কজারেক্স স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ডেইলি জেনট্যাল ক্লিনজার
  • দ্যা বডি শপ টি ট্রি স্কিন ক্লিয়ারিং ফেসিয়াল ওয়াশ
  • ক্লিনিক ফর মেন
এই সকল ফেসওয়াশ গুলো ব্রণ যুক্ত ত্বকের জন্য অত্যাধিক উপযোগী।

ব্রণ যুক্ত ত্বকের যত্ন

  • আপেল ফলঃব্রণের সব থেকে বড় শত্রু হল পেকটিন। আর এই পেকটিন নামক উপাদান টি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় যে ফলে তার নাম আপেল। তাই নিয়মিত আপেল খাওয়া ব্রণ যুক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
  • তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াঃ আমাদের ত্বক যে তেল উৎপন্ন করে তা থেকে মূলত ব্রণের উৎপত্তি হয় অধিক পরিমাণ তৈলাক্ত খাবার খাওয়া আমাদের ত্বক কেউ আরো বেশি তৈলাক্ত করে দিতে পারে যার কারণে আমাদের উচিত তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা ত্বক সতেজ রাখার জন্য এবং শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য।
  • ভিটামিন এঃ ত্বককে ব্রণমুক্ত রাখতে শরীরের ভিটামিন এ এর প্রয়োজন। সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফলমূল, গাজর, কুমড়ো, পাকা পেঁপে, ঘি, মাখন ও অন্যান্য সব্জি, ফল ইত্যাদিতে ভিটামিন 'এ' থাকে।যেগুলো খেলে আমাদের শরীরে ভিটামিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং যা আমাদের ত্বককে ব্রণ মুক্ত করতে সাহায্য করে।তাছাড়াও কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্যে ভিটামিন 'এ' থাকে, যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • সরিষা ও মধুঃ সরিষা ও মধু ব্রণ যুক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। সরিষা গুড়ার সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে তা ব্রণ দূর করে এবং ত্বককে আরো উজ্জ্বল করতে কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা যে ত্বকের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কতটা উপযোগিতা আমরা কমবেশি সবাই জানি।অ্যালোভেরা ব্লেন্ড করে তার রস ব্রণের উপর লাগিয়ে দিলে আশানুরূপ ফল পাওয়া সম্ভব। অ্যালোভেরা ব্রণ দূর করতে জাদুর মত কাজ করে।

ব্রণ যুক্ত ত্বকের যত্নে কার্যকরী ৫টি ফেসওয়াশ

  • পন্ড'স পিম্পল ক্লিয়ার ফেসওয়াশ
  • গুড ভাবিস গ্রীন টি পিউরওফাইং
  • মামা আর্থ টি ট্রি ফেসওয়াশ
  • ল্যাকমে ব্লাশ অ্যান্ড গ্লো কিউয়ি ক্রাশ জেল ফেসওয়াশ
  • আ্যরোমা ম্যাজিক নিম এন্ড টি ট্রি ফেসওয়াশ

শেষ কথা

উপরোক্ত উপদেশ গুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পরিশ্রম ও ক্লান্তির ছাপ আমাদের ত্বক থেকে দূর করতে ত্বক সতেজ,স্বাস্থ্যউজ্জ্বল, ও সুন্দর করতে এবং ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অনেকাংশেই সাহায্য করবে বলে আশা করছি।ধন্যবাদ সকলেকই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইজি গ্রাব ওয়েব এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url