দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় নিয়ে আজকের আমাদের এই আর্টিকেল। আপনি যদি এ রোগের বিষয়ে সচেতন হতে চান তাহলে এর কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এবং আক্রান্ত হয়ে গেলে এটি নিরাময়ে উপযোগী বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এবং ডায়াবেটিস রোগের প্রতিরোধ সম্পর্কে জানাও অত্যন্ত জরুরি।
                                                                    
                           

নিম্নে লিখিত বিষয়বস্তু হতে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই রোগ সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও এ রোগের ভয়াবহতা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায় সমূহ।

ভূমিকা

ডায়াবেটিস মূলত একটি বিপাকজনিত রোগ এবং এটি একটি গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা। ডায়াবেটিস বহুমূত্র রোগ কিংবা মেলাইটাস নামেও পরিচিত। মানবদেহে ইনসুলিন নামে একটি হরমোন সবসময় বিদ্যমান থাকে আর এটির পরিমাণ কমে গেলে বিভিন্ন ধরনের বিপাকীয় ত্রুটি দেখা যায়। যখন শরীর এই ইনসুলিন নামক হরমোন উৎপাদন করে না কিংবা উৎপাদিত ইনসুলিন কার্যকর ভাবে ব্যবহার করতে পারে না তখন রক্তে গ্লুকজ এর পরিমাণ স্বাভাবিক এর চেয়ে বৃদ্ধি পায় আর শরীরের এই পরিবর্তনকেই ডায়াবেটিস হিসেবে গণ্য করা হয়।


ডায়াবেটিস একটি নিরব ঘাতক রোগ ও বটে অনেক সময় শরীরে ডায়াবেটিস আছে তা উপর থেকে বোঝা না গেলেও ভেতর থেকে এটি মানব দেহকে নিঃশেষ করে ফেলতে পারে তবে সামান্য কিছু সচেতনতা অবলম্বন করলে এই গুরুতর রোগ থেকে রক্ষা পাওয়াও সম্ভব।

ডায়াবেটিস রোগের প্রকারভেদ

ডায়াবেটিস রোগকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।
  • টাইপ ১ ডায়াবেটিসঃ প্রত্যেক মানবদেহে অগ্ন্যাশয় নামক একটি গ্রন্থি থাকে যেখান থেকে ইনসুলিন নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। হয় যা আমাদের ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে যদি কোন ব্যক্তির ইনসুলিন উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে যায় তবে ওই ব্যক্তিটি যে ডায়াবেটিস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাকে টাইপ ১ ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। পূর্বে এটি ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিস মেলিটাস অথবা জুভিনাইল ডায়াবেটিস নামে পরিচিত ছিল। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু ও তরুণদের হার সবচেয়ে বেশি। ১০-১৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই প্রকার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার হার সবথেকে বেশি।
  • টাইপ ২ ডায়াবেটিসঃ এই প্রকার ডায়াবেটিসে দেহের কোষ গুলো ইনসুলিন এর প্রতি যথাযথ সারা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। যেহেতু মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে ইনসুলের ঘাটতিও তৈরি হয় সেও তো বয়স্ক মানুষ এ প্রকার ডায়াবেটিসে বেশি আক্রান্ত হয় তাছাড়াও যাদের শরীরের ওজন বেশি,কায়িকশ্রম কম করে তারাও এই প্রকার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি ও এ প্রকার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • গর্ভকালীন ডায়াবেটিসঃ একজন গর্ভবতী নারী দেহে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে যার কারণে তারা ডায়াবেটিস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন।সাধারণত গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেহেতু গর্ভকালীন সময়ে ওজন অতিরিক্ত থাকে সেহেতু ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।গর্ভকালীন ডায়াবেটিস যুক্ত নারীদের সঠিক চিকিৎসা না হলে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের রক্তে শর্করা কম থাকা এবং তাদের জন্ডিসের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ডায়াবেটিস রোগের কারণ

কোন খাদ্য গ্রহণের পর আমাদের দেহ খাদ্যে থাকা শর্করা কে ভেঙে গ্লুকোজ রূপান্তরিত করে। আমরা পূর্বে জেনেছি মানবদেহে অগ্ন্যাশয় নামক গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ কমানোর কাজ করে। আর যখন আমাদের দেহে ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায় কিংবা দেহের কোষ গুলো ইনসুলিনের প্রতি কার্যকর সাড়া প্রদান করতে ব্যর্থ হয় তখনই শরীরে ডায়াবেটিস রোগ দেখা যায়। 

সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীর প্রধান কারণ হলো ইনসুলিন উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা দেহের কোষ গুলোর ইনসুলিন এর প্রতি কার্যকর সারা প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়া। এছাড়াওঃ

  • খাদ্যাভ্যাস ও ডায়াবেটিসের কারণে হিসেবে বিবেচিত হয় ছোটবেলা থেকেই অনেকে অনেক বেশি পরিমাণে মিষ্টি খেতে অভ্যস্ত থাকে অনেক বেশি পরিমাণে কিংবা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার সমূহ যেমন ভাত, রুটি, চিড়া,মুড়ি, বিস্কুট বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকে তাহলে তুলনামূলক তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • বংশগত কিংবা পারিবারিক ইতিহাস এর কারণে অনেকে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
  • ওজন বেশি হওয়া কিংবা কায়িক শ্রমের বেশি অভ্যস্ত না হওয়া ব্যক্তিদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • খাদ্য তালিকায় যদি অতিরিক্ত চিনি এবং কম ফাইবার যুক্ত খাবার থাকে সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • এছাড়া তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করাও ডায়াবেটিস রোগের কারণ হতে পারে।
  • একজন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকে তাহলে তার যেমন অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ঠিক তেমনি ভাবেই ডায়াবেটিস রোগ সে ব্যক্তির দেহকে চেপে ধরতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ

ডায়াবেটিস রোগ নিরাময়ের পূর্বে কিংবা এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য আমাদের জানা দরকার এই রোগের লক্ষণগুলো। সুতরাং চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণঃ
  • মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া।
  • হঠাৎ করে কারণ ছাড়া ওজন কমতে থাকা।
  • ঘনঘন প্রসব হওয়া।
  • ক্ষুদা বেড়ে যাওয়া।
  • শরীরে অল্পতে ক্লান্তি ভাব দেখা দেওয়া।
  • শরীরে কোন জায়গায় ক্ষত হলে কিংবা কাটা থাকলে তার সহজে না শুকানো।
  • স্পর্শ বা ব্যথার অনুভূতি কমে যাওয়া।
  • অতিরিক্ত পিপাসা।
  • চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া বা ঝাপসা দেখা।
  • ত্বকের রঙ এর বিবর্ণতা।
  • চামড়া শুষ্কতা ভাব।
  • মেজাজ এর ভারসাম্য নষ্ট হওয়া সহজেই বিরক্ত কিংবা খিটখিটে ভাব আশা।
এছাড়াও টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের সময়ের সাথে সাথে শরীরে উচ্চ সর্করা উপস্থিত থাকার ফলে অন্যান্য বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারেন যেমনঃ কিডনির রোগ, হৃদরোগ, স্নায়ু ক্ষয় ও দাঁতের সমস্যা।

ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধের উপায়

ডায়াবেটিস অনেকাংশে আমাদের জেনেটিক ও দৈনন্দন জীবনযাত্রার দ্বারা প্রভাবিত হলেও একটু সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ও সতর্কতা অবলম্বনে দ্বারা এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করলেই আমাদের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারি। আমরা সকলেই জানি প্রতিকারের থেকে প্রতিরোধ শ্রেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধের কিছু উপায় সমূহঃ
  • খাদ্যাভাস পরিবর্তনের মাধ্যমেঃ একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা অনেকাংশেই সম্ভব। বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ কিংবা প্যাকেট জাত খাবার যেমন চিপস, বিস্কুট, কোল্ড ড্রিংকস,ও ফাস্টফুড আইটেম যেমনঃ বার্গার,পাস্তা,প্যাস্ট্রি, ইত্যাদি খাদ্য কম খাওয়া সাথেচিনি জাতীয় খাবার পরিমাণে কম খাওয়া, মিষ্টি কম খাওয়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকরী হতে পারে। এর বদলে স্বাস্থ্যকর শাকসবজি ফল বাদাম ইত্যাদি খাওয়া ভালো।
  • শরীরচর্চাঃ একটু সুস্থ দেহের অধিকারী হতে হলে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে আড়াই ঘন্টা ব্যায়াম করা দরকার। দ্রুত হাঁটা, সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা নামা করা, সময় পেলে সাঁতার কাটা এ ধরনের কার্যক্রমে যুক্ত থাকলে শরীর থাকে সক্রিয়। তাছাড়াও শরীরে ওজন কম থাকে এবং সিড়ির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • ধূমপান ত্যাগ করাঃ এটি একটি বদভ্যাস আমাদের সকলের জানা এবং তার সাথে আমরা এও জানি এটি অনেক বিরল রোগের সূচক এবং অনেকাংশে শরীরকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত করতে হলে সাহায্য করতে পারে সুতরাং এই অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করাই শ্রেয়।
  • রক্তে চিনির মাত্রায় নজরদারিঃ যে সকল ব্যক্তি ডায়াবেটিস রোগ সংক্রান্ত ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের উচিত নির্দিষ্ট সময় পর পর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা। বর্তমান সময়ে অনেক ফার্মেসিতেই স্বল্পমূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা সম্ভব।
  • ডাক্তারের পরামর্শঃ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে কিংবা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
এই রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর ও শৃংখল জীবনযাপনের কোন বিকল্প নেই।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়


ডায়াবেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নানা রকম স্বাস্থ্যকর ফল, সবুজ শাকসবজি, চর্বিহীন আমিষ, এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া প্রয়োজন কারণ শরীরে চর্বির ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এর মাত্রা অতিরিক্ত হলে কমে গেলে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও বিভিন্ন প্যাকেট জাত ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার কোমল পানীয়, চিনিযুক্ত খাবার, মিষ্টি ইত্যাদি একদম এড়িয়ে চলতে হবে এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণের জন্য মনোযোগ দিতে হবে শরীর চর্চার দিকে।

 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বেশি রাতে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। দেরি করে খাবার খেলে রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে তাই চেষ্টা করতে হবে রাতে যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায়।

প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ 

ওষুধ ও ইনসুলিন ব্যতীত প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সুস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন শরীরচর্চা,সঠিক খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি ছাড়াও নিম্নলিখিত প্রাকৃতিক উপাদান গুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
  • ডিমঃশরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে ডিম হতে পারে অনেক উপযোগী। আর এক্ষেত্রে সিদ্ধ ডিম খাওয়াটা বেশি উপকারী।
  • ডুমুরঃ ডুমুরে ফাইবার নামক উপাদান বেশি থাকে ফাইবার ডিমের মতো রক্তে শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।  এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে ডুমুর এর পাতা ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতি ঘটাতেও যথেষ্ট কার্যকরী।
  • টক দইঃ যেহেতু শরীরে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সে ক্ষেত্রে টক দই উপকারী কারণ টক দই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা কমাতে সাহায্য করে এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।
  • ব্রকোলিঃ ব্রকোলি তে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ একদমই নেই এটি ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ হতে আপনার দেহকে সুরক্ষা প্রদান করবে।
  • তেতো করোলাঃ তেতো করোলা রক্তে গ্লুকোজ এর পরিমাণ কমায় যেহেতু রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে গেলে ডায়াবেটিস দেখা দেয় সুতরাং বুঝা যাচ্ছে করোলা কতটা কার্যকরী।প্রতিদিন খালি পেটে সকালের রস পান করলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ভালো কাজ করে।
  • মেথিঃ মেথি সাধারণত মানবদেহের রক্তে গ্লুকোজ সহনশীল করতে সাহায্য করে এবং এর সাথে দেহে সরকারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি যথেষ্ট কার্যকরী।
  • নিম পাতাঃ নিম পাতার কার্যকারিতা এক্ষেত্রে এত বেশি যে নিম পাতা কে ডায়াবেটিসের ঔষধ হিসেবেও গণ্য করা হয়।নিম পাতা ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ কে সুস্থ করতে সাহায্য করে তাছাড়ো আমাদের দেহে ইনসুলিন ও রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও অনেক উপযোগী।

ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা

সাধারণত দুইটি উপায় ডায়াবেটিস মাপা হয়ে থাকে এখন আপনার রক্তে সুগারের পরিমাণ নির্ভর করে আপনি কোন উপায়ে ডায়াবেটিস মাপছেন। তা যদি হয় গ্লুকোমিটারে ( যা বাসা বাড়িতে কিংবা ফার্মেসিতে ব্যবৃত হয়) তাহলে সেক্ষেত্রে তাহলে আপনার দেহে খালি পেট এ সুগার এর পরিমাণ ৪-৬ পয়েন্ট (mmol/l) এবং খাবার এর ২ ঘন্টা পরে মূলত তা আট পয়েন্টের নিচে হলে সে মাত্রা কে সুগারের স্বাভাবিক মাত্রা হিসেবে গণ্য করা হয়।

অন্যদিকে হাসপাতাল ল্যাবে ডায়াবেটিস মাপলে খালিপেটে আপনার শিরা থেকে নেওয়া রক্তে সুগারের পরিমাণ ৫.৫ (mmol/l) এর আশেপাশে থাকা ভালো।ভরা পেটের ক্ষেত্রে খাবার পরে শরীরের সুগারের মাত্রা কিছুটা বেড়ে যায় স্বাভাবিক তবে এই মাত্রার পরিমাণ ৭.৮ (mmol/l) এর বেশি হলে তাকে প্রি ডায়বেটিস হিসেবে গণ্য করা হয়। 

টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হলে তখন তাকে প্রি-ডায়াবেটিস স্টেজ বলে।আর রক্তে সুগার এর মাত্রা ১১.১ এর বেশি হলে তার ডায়াবেটিসের মাত্রায় চলে যায়।

শেষ কথা

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি আমরা ডায়াবেটিস সম্বন্ধিত আরো অনেক কিছু জানলাম যেহেতু ডায়াবেটিস রোগ নীরব ঘাতক এবং আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুতর ও ক্ষতিকারক এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সচেতন থাকতেই হবে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সুস্থ ও শৃঙ্খল জীবনযাপন এর কোন বিকল্প নেই। আশা করি এ বিষয়ে আমরা সকলে সচেতন হব এবং উপরোক্ত লিখিত বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ সকলকে।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইজি গ্রাব ওয়েব এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url